ইউরিক অ্যাসিড কি? এর লক্ষণ ও কমানোর ঘরোয়া Best উপায়

ইউরিক অ্যাসিড

ইউরিক অ্যাসিড কি? এর লক্ষণ ও কমানোর ঘরোয়া Best উপায়

ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরের বর্জ্য পদার্থ যা রক্তে পাওয়া যায়। এটি আমাদের শরীরের একটি স্বাভাবিক বর্জ্য উপাদান. এটি পিউরিন নামে পরিচিত. যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা রক্তে অতিরিক্ত হয়, তবে এটি গাউট, কিডনি পাথর বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এটি প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়। যদি এই ইউরিক অ্যাসিড শরীরে থেকে যায় তবে এর ঘনত্ব হাইপারইউরিসেমিয়া  সৃষ্টি করে যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে।

 

ইউরিক অ্যাসিড কেন বাড়ে?

 

আমাদের শরীরে যে ইউরিক অ্যাসিড আছে, তার এক-তৃতীয়াংশ উৎপাদিত হয় আমিষজাতীয় খাবার থেকে আর দুই–তৃতীয়াংশই কিন্তু কোষের নানা বিপাক ক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। কোনো কারণে যদি কিডনি ইউরিক অ্যাসিড নিষ্কাশন না করতে পারে বা ইউরিক অ্যাসিড বিপাকের এনজাইমে ঘাটতি থাকে, কিংবা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হতে থাকে,আবার কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে যারা প্রচুর পরিমাণে মদ পান করে তাদের শরীরে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইনের কারণে ইউরিক এসিডের বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অথবা অসময়ে ঘুমের অভ্যাস থাকলেও ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়াও হৃদরোগ ও কিডনির অসুখ এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা ও আরো অন্যান্য এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলে রোগীর রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কম পরিমাণে পানি খাওয়ার কারণে ও রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে তাই এ সকল বিষয়ে আমাদের সকলকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

 

ইউরিক এসিডের লক্ষণ কি?

 

প্রসবের সময় জ্বালাপোড়া একটি বড় কারণ। অনেক সময় প্রস্রাবের রং পরিবর্তন অর্থাৎ হঠাৎ করে প্রস্রাবের রং বদলে গেলে এই সন্দেহ আসতে পারে।রোগীদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। হঠাৎ করে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ অনেকে বেশি হয় এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও ইউরিক অ্যাসিড টেস্ট করে দেখা গেছে যে তাদের এই সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি।

 

ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবার তালিকা 

 

এমন কিছু খাবার আছে যা শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যেমন: 

পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার :

মাংস : গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস, শুয়োরের মাংস, এগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।

মাছ: স্যালমন, আঙ্কোভিস, মোলাস্ক, সার্ডিনস, স্ক্যালপস এবং টুনা। 

 

ইউরিক এসিড কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়

 

  1. পর্যাপ্ত জল পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি জল করা উচিত।
  2. প্রতিদিন সবজি ও ফল খাওয়া উচিত। সবজি ও ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা ইউরিক এসিড কমানোতে সাহায্য করে।
  3. প্রতিদিন প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রাকৃতিক খাবারে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ইউরিক এসিড কমানোতে সাহায্য করে।
  4. প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমান। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
  5. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করা উচিত।

 

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে ডায়েট:

 

সকালের খাবার

ওটমিল (১/২ কাপ)

ফল (১ কাপ)

 

দুপুরের খাবার

মাছ (৩ আউন্স)

ভাত (১/২ কাপ)

সবজি (১ কাপ)

 

রাতের খাবার

মুরগির বুকের মাংস (৩ আউন্স)

সবজি (১ কাপ)

 

স্ন্যাক

ফল (১ কাপ)

বাদাম

 

এছাড়াও, আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ঔষধ নিতে পারেন। আপনি আপনার খাদ্য গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য খাওয়ার সামঞ্জস্য করে শুরু করতে পারেন

ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরের বর্জ্য পদার্থ যা রক্তে পাওয়া যায়। এটি আমাদের শরীরের একটি স্বাভাবিক বর্জ্য উপাদান. এটি পিউরিন নামে পরিচিত. যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা রক্তে অতিরিক্ত হয়, তবে এটি গাউট, কিডনি পাথর বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এটি প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়। যদি এই ইউরিক অ্যাসিড শরীরে থেকে যায়…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *