Site icon Insightful Daily

শাক সবজি : কলমি শাকের উপকারিতা অপকারিতা

শাক সবজি

কলমি শাক

আমাদের দেশে অনেক ধরনের শাক সবজি পাওয়া যায়। আজ যে শাক নিয়ে আলোচনা করব সেটি সবার পরিচিত। কলমি শাক এটি নানা পুষ্টি গুণে ভরপুর তবে অন্যান্য শাক সবজি র ভিড়ে খুব একটা কদর পায় না পুষ্টিবিদরা বলেন নিয়মিত কলমি শাক খেলে অনেক উপকার পাওয়া যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতি 100 গ্রাম কলমি শাকে জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৫.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, পটাশিয়াম ৩১২মিলিগ্রাম পাওয়া যায় পাওয়া যায়

কলমি শাকের উপকারিতা :

কলমি শাকে ক্যালসিয়ামের যথেষ্ট পরিমাণ থাকে তাই কলমি শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের নিয়মিত কলমি শাক খাওয়ালে হাড় মজবুত হয়।

এছাড়াও কলমি শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ লৌহ থাকায় এই শাক সারা দেহে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য এই শাক সবজি দারুণ উপকারী।

খাদ্য পরিপাকে কলমি শাক গুরুত্বপূর্ণ তাই নিয়মিত কলমি শাক খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হলে কলমি শাকের রস খুব উপকারী।

কলমি শাক ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে এই শাকে ১৩ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত যা শরীরে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পুষ্টিবিদরা কলমি শাখার উপদেশ দেন কারণ কলমি শাকে ভিটামিন এ চোখকে ভালো রাখতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।

কলমি শাক রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে যা হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম করে থাকে।

মৌমাছি, কিংবা বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে কলমি শাকের রস লাগালে জ্বালা কমে।

কারা এই শাক সবজি (কলমি শাক) খাবেন না

যারা কিডনিজনিত সমস্যা এবং এসিডের সমস্যায় ভুগছেন তাদের কলমি শাক না খাওয়াই ভালো।

আমাদের দেশে শাক সবজি র পরিমাণ প্রচুর তবে সব শাক সবজি সম্বন্ধে সবাই সবকিছু জানে না, আমাদের আশে পাশে অনেক উপকারী শাক সবজি পাওয়া যার যার কদর আমরা করি না, তেমনি কলমি শাক এটি একটু অত্যান্ত পুষ্টিকর খাদ্য নিয়মিত কলমি শাক খেলে স্বস্থের উন্নতি সম্ভব, তাই আপনারা খাদ্য তালিকায় কলমি শাক রাখতে পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ কথা: ব্লগে উল্লেখিত তথ্য পরামর্শস্বরূপ। প্রোয়জনে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।🙏

Exit mobile version